আইন ও নিজস্ব নীতি-সব মিলিয়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে জয়েন করবার ও চাকরি ছেড়ে চলে যাবার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান ও কর্মী-উভয় তরফেই কম বেশি ৩০ দিন হতে ৬০ দিন সময় দেবার ও নেবার সংস্কৃতি ও ব্যবস্থা চালু আছে।
এই বিষয়ক আইন আজকের আলোচ্য নয়।
আজকের আলোচ্য হল, ওই সময়কালটির মান্যতা।
প্রায়শই ভাইবাতে আমি জব এপ্রোচ মেকার তথা এ্যাপ্লিক্যান্টদের জিজ্ঞেস করি, যে, তিনি বা তাদের রিলিজ নিয়ে আসতে কতদিন লাগবে। প্রায় প্রত্যেকেই জানান-৩০ দিন হতে ৬০ দিন সময় লাগবে। আমরা আমাদের অবস্থা মতো অন্তত ৩০ দিন হতে ৪৫ দিন সময়ও দেবার চেষ্টা করি।
কিন্তু, এই সু-অভ্যাস সর্বত্র নেই।
ঘরে, বাইরে প্রায়শই এমন একটি অবস্থার অভিজ্ঞতা হয়, যেখানে, নতুন এমপ্লয়ার বা তাদের HR বিভাগ, জব কনফার্ম করার শর্ত হিসেবে জুড়ে দিন, ৭ দিনের মাথায় জয়েন করতেই হবে। তাদের ভীষণ তাড়া।
এরকম এমপ্লয়ার বা তাদের HR বিভাগের চাপে জব সিকাররা হয়, তাদের পুরোনো এমপ্লয়ারকে ৬-৭ দিনের নামকাওয়াস্তে নোটিশ দিয়ে চলে যান (কার্যত তাকে অকূল পাথারে ফেলে।); একটা বড় অংশই বাধ্য হয়ে কোনো রকম নোটিশ/রেজিগনেশন না দিয়ে স্রেফ পালিয়ে যান।
উভয় ক্ষেত্রেই তারা এই অন্যায় কাজটি করতে বাধ্য হন নতুন এমপ্লয়ার বা তাদের HR বিভাগের ভুল প্রাকটিসের জন্য। পুরোনো এমপ্লয়ার ও তাদের HR বিভাগকে ভয়ানক রকম বিপদগ্রস্থ করে তারা স্রেফ উধাও হন, বা, চোখের সামনে দিয়ে ৭ দিনের মাথায় হাওয়া হন।
নতুন এপয়েন্ট করা কাউকে ৭ দিনের মাথায় উড়িয়ে আনতে, প্রায়শই ওই কর্মীর নতুন বিভাগ বা তার প্রধানরা HR কে বাধ্যও করেন।
পুরোটাই আমাদের এমপ্লয়ার প্রতিষ্ঠান বা তার কোনো বিভাগ বা তাদের HR বিভাগের ভুল সিদ্ধান্ত, অপ্রস্তুতি, ভুল সংস্কৃতির কারনে ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে, এমনকি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সদস্য তথা মালিকরা তাদের অধীনস্থ বিভাগীয় প্রধান বা HR কর্মীদের এধরনের বদ-অভ্যাসের কথা একদমই জানেন না।
এহেন চর্চা পুরো জব মার্কেট ও প্রাইভেট সেক্টরের জন্য বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর। আস্থা ও বিজনেস-অনেক কিছুই ধ্বংস হচ্ছে এতে।
আমাদের উচিত, এই চর্চা থাকলে সেটা বন্ধ করা। প্রতিটি এমপ্লয়ীং প্রতিষ্ঠানের জন্যেই উচিত, সেক্টরে তার সহযোগী বা প্রতিযোগী-সবার জন্যই সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
সময় দিন। সময় নিন। [https://youtu.be/_xn7r9Hf9_A]
#NoticePeriod #Resignation #ReleaseFromJob