Skip to content

ছোট ছোট উদ্যোগ: বড় কিছুর সূচনা

  • by

বড় বড় স্যার ও সংগঠনের পানে তাকিয়ে না থেকেও HR নিয়ে অনেক চমৎকার চমৎকার উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব ছিল। আন্তরিকতার অভাব, ভিশনের অভাব, আর মাত্রাতিরিক্ত ব্যুরোক্রেসি ও রক্ষণশীলতার কোপে পড়ে এই সুযোগগুলো কাজে লাগানো যায় না।

কেমন?

একটি HR team এর মাথে আরেকটি HR team এর ব্যাপক collaboration, interchange, interaction করতে পারা যেত।

একের অনুষ্ঠানে, আয়োজনে, উদ্যোগে, উদ্ভাবনে অন্যকে শামিল করলে সফলতা সহজ হত, সার্বজনীন হত, ব্যপক হত।

টিমে টিমে তথ্য, তত্ব, জ্ঞান বিনিময়, সফর বিনিময়, প্রশিক্ষণ বিনিময় হতে পারত HR development এর অত্যন্ত কার্যকর অপ্রাতিষ্ঠানিক পন্থা। আমার খুব ইচ্ছে করে, অন্য প্রতিষ্ঠানের HR training এ অংশ নিতে, নিজেদের যতসামান্য আয়োজনে অন্যদের অংশ দিতে।

দুই টাইপেই উৎসাহী পাই না। আবার ফিস ফিস ফিস আছে। একের জ্ঞান অন্যকে দিলে সবারই বাড়ত।

কিন্তু তা তো হবার নয়।

এত্ত বেশি রিজার্ভড, সেলফ সেনট্রিক ও সন্দেহ প্রবণ আমরা।

একটা সামান্য কারখানা/অফিস ভিজিটের অনুমতি পেতে/দিতে এদেশে ১০০ টাকার স্ট্যম্পে দরখাস্ত করতে হয়।

একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান বড় হবার, গ্রো করবার, উন্নতি করবার নানা ধাপ থাকে।

সেই যাত্রায় বড় বড় সিদ্ধান্ত, ড্রাইভ, উদ্যোগ, কাজ নিশ্চয়ই থাকে।

 তবে, এরই ফাঁকে, ছোট ছোট উদ্যোগ, কাজ, পরিবর্তন, আয়োজনগুলোর ভূমিকা এককভাবে খুব ক্ষুদ্র হলেও, সম্মিলিতভাবে, দীর্ঘমেয়াদে আরও বড় ও কার্যকর।

বড়সড় রকমের আয়োজন, উদ্যোগ সবসময় হয়তো নেয়া হয় না। যায় না। কিন্তু, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোগও ধারাবাহিকভাবে নিয়ে যেতে থাকলে সেটা বড় পরিবর্তন এনে দেয়। আমরা হয়তো বড় বড় কাজের জন্য বসে থাকি। কিন্তু, বড় কিছু করতে না পারলেও, ছোট কিছু করে যেতে বাধা নেই।

সবসময় বিশাল বিশাল কিছুর অপেক্ষায় বসে না থেকে পরিবর্তন ও উন্নয়নের জন্য ছোট ছোট বিষয় ও উদ্যোগে নজর দিন। অনেক সময় ছোট্ট একটা পরিবর্তনও বিশাল এক্সেলেন্স এনে দিতে পারে।

একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

আমি যে’ই হই, যা’ই হই, আমার একটা ব্যক্তিগত সত্তা আছে, আবার, একটা প্রফেশনাল সত্তা আছে, মানে আমি কোথায় কাজ করছি-সেই পরিচয়টাও আছে।

আমি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার আইডি/প্রোফাইলগুলোতে বিরাজ করি, কিছু লিখি, কিছু বলি, কিছু করি-সেটা একান্তই আমার, একান্তই আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস ও কার্যক্রম। এর সাথে আমার নিজ কর্মস্থলে আমি কী, আমি কে, আমি কী করি, আমার কী করবার কথা, আমি কী করে থাকি, কী করে করে থাকি-তার একশোভাগ মিল বা সমন্বয় থাকতেও পারে, আবার জিরো পারসেন্ট মিলও না’ও থাকতে পারে।

অর্থাৎ, ব্যক্তিগত সোশ্যাল হ্যান্ডেলের ক্ষেত্রে আমি আমার প্রতিষ্ঠানে আমার ফুটপ্রিন্ট কী, সেটার রিপ্রেজেন্টেশন নিশ্চিত করতে বাধ্য নই। অভ্যস্তও নই। আবার, একই ভাবে, ভাইস ভারসা, আমি আমার কর্মস্থলে আমার একান্ত নিজস্ব ফিলোসফির হুবহু একতরফা প্রয়োগ করি না। দুটো সত্তা আমার আলাদা। দুই মাধ্যমে আমার কাজ একদমই আলাদা। কিছু ক্ষেত্রে মিল থাকতে পারে, সেটাও খুব স্বাভাবিক। তবে মিল না থাকাটা অস্বাভাবিক না।

আমার সোশ্যাল হ্যান্ডেল আমার অ্যাবসলুট নিজস্ব ফিলোসফিক্যাল ক্যানভাস। সেখানে আমার বিশ্বাসের অনুরনন হয়। আবার, আমার কর্মস্থল আমার উত্তরাধিকার নয়। সেখানকার ফিলোসফি আমার একার ইচ্ছায় চলবে না। সেখানে প্রতিষ্ঠান (বা তার উদ্যোক্তার) নিজস্ব ভিশন ও ভ্যালুজ প্রাধান্য পাবে।

তাই, আমাকে, বা, যে কাউকে, “আমনে যা কইতাছেন, আমনের নিজের কুম্বানিতে হেইডা করেননি?” অথবা “আপনি আচারি ধর্ম”-এরকম উচক্কা প্রশ্ন কিংবা কাব্যিক আহবান কেবল করবার জন্য করা হবে। উত্তর নেই, কারন উত্তর হয় না। অনেকেরই ধারনা (আসলে ভুল ধারনা) হতে পারে, হ্যাতে যেই সুন্দর সুন্দর মধুর কথা বলে, নিশ্চয়ই তার কোম্পানী একটা বেহেশত। আদতে না। তিনি সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, মানেই তার নিজের কর্মস্থলে আগে ওগুলো সব প্রয়োগ করতেই হবে, তারপরই সেটা বলা যাবে-এরকম প্রত্যাশা পাঠকের মনে থাকতেই পারে, তবে সেটা পূরণ করার দায় কারোর নেই।

#association #sectoraldevelopment #HRdevelopment #collectiveinitiative #socialinitiative #smallinitiative #efforts #drive #smallinitiative #smallstart #collaboration #managementbyexample #startingathome #startingwithself #আপনিআচারিধর্ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *