লজ্জা করো না, সংকোচ বোধ করো না, যদি তুমি দরিদ্র হয়ে থাকো।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তুমি সস্তা K-2 সিগারেট খেতে অভ্যস্ত হও, (বরং ধুমপান করার জন্য লজ্জা পাও।)
সংকোচ করো না, যদি তুমি ছোট চাকরি করো।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তুমি গ্রাম হতে উঠে আসো আর শহরের কেতা তোমার জানা না থাকে।
সংকোচ করো না, যদি পেশাগত দরকার না থাকায় ইংরেজিতে ভাল না হয়ে থাকো।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তুমি বাজারে গিয়ে সস্তা মাছ কেনো।
সংকোচ করো না, যদি তুমি আর্থিক অসঙ্গতির কারনে ভায়রার ছেলের বিয়ের দাওয়াতেও তোমার পুরোনো অথচ সবচেয়ে ভাল লুঙ্গীটি আর ঢোলা জামাটি পরে গিয়ে থাকো।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তোমার কষ্টে কেনা মোজা ছিড়ে নগ্ন পা প্রদর্শিত হয়ে পড়ে।
সংকোচ করো না, যদি রিক্সা চালনা কিংবা এমনকি জুতা সেলাইয়ের মতো কায়িক শ্রম করেও জীবিকা নির্বাহ করে থাকো।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তোমার ফোন সেটটি খুব অখ্যাত ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে।
সংকোচ করো না, যদি তোমার স্ত্রী অতি কুৎসিতও হয়ে থাকেন।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তোমার স্বামীর আর্থিক সঙ্গতি তোমার বান্ধবী বা আত্মীয়দের থেকে কম হয়।
সংকোচ করো না, যদি তোমার বাবা বা শশুর একজন শ্রমজীবিও হন।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তুমি মানুষের প্রতারনা ও অন্যায় উপহাস ধরতে পারার মতো চতুর না হও।
সংকোচ করো না, যদি তোমার কারো সাহায্য দরকার হয়।
লজ্জা করো না, যদি জীবনে কখনো ভুল করে পদস্খলন হয়ে থাকে।
সংকোচ করো না, যদি তুমি তোমার ভুলটি ধরতে পারো আর স্বীকার করতে চাও।
লজ্জা করো না, যদি কোরবাণীতে পশু না কিনে থাকো।
সংকোচ করো না, যদি তুমি সন্ধ্যার বাজারে কোরবাণীর ছাটি গোশত কিনতে গিয়ে পরিচীত কারো সম্মুখে পড়ো।
লজ্জা পেয়ো না, যদি তোমার সামনে কেউ অন্যায় করে।
সংকোচ করো না, যদি তুমি সত্যটি প্রকাশ করতে চাও।
লজ্জা তো তখন করবে, সংকোচ তো তখনই করবে, যদি তুমি-
ঘুষ খাও, মিথ্যা বলো, প্রতারনা করো, লুট করো, চুরি করো, খুন করো, আঘাত করো, সত্য লুকাও, দায়ীত্ব অবহেলা করো, কাপুরুষতা করো, অন্যায় করো বা অন্যায়ে আপোষ করো, দূর্নীতি করো, অন্যের হক নষ্ট করো, কারো চরিত্র হনন করো, গীবত করো, কারো অধিকার হরন করো, সূরা পান করো, কারো ক্ষতি করো, ধর্ষণ করো, কৃদৃষ্টি দিয়ে কাউকে দেখো, আর…………………….
আর, যখন তুমি উপলব্ধি করতে পারো, যে, তোমার দ্বারা কখনো মানবতা উপকৃত হয়নি অথবা, তোমার নিজেরই কোনো কাজ বা কথার জন্য তুমি নিজেই অনুভব করো, ”আমি ঠিক করি নাই।”