১৪ এপ্রিল রাতে সারাদিনের প্রচন্ড ধকল শেষ করেও অনেকদিনের প্লান করা একটা মুভি দেখলাম-প্রাক্তন। ঘুমে ঘায়েল হয়েও দেখেছি। দেখা শেষ করে আবেগে আপ্লুত হয়েছি। মুভি রিভিউ লিখেছি। অতঃপর ঘুম। এমন একটা মুভি দেখে সব পুষিয়ে যায়।
প্রায় অর্ধবছর আগে ”আয়নাবাজি” নামক একটি “সপ্তাশ্চর্য” মুক্তি পাবার পর বাংলার নব্য সিনেমাপ্রেমীরা ঝাপিয়ে পড়েছিল। পুরো দুই সপ্তাহ গেছে আয়নাবাজি ক্রাশ আর ক্রেজ। আমি ভাবছিলাম এইবার বোধহয় একটা কিছু দেখার মতো বানানো হয়েছে। আমি না দেখে মিস করছি।
যাহোক বঙ্গদেশিয় আয়না ক্রাশ ঠান্ডা হতে দিলাম গত সাত আট মাস। অতঃপর ১৬ এপ্রিল রাতে ঘুম হারাম করে সিনেমা “আয়নাবাজি” দেখতে বসলাম। ঘন্টা দুয়েকের মুভিতে ক্রাশ বা ক্রেজী হবার মতো কিছু পেলাম না।
চঞ্চলের বরাবরের মতো ছ্যাবলামো পূর্ণ অভিনয়, নাবিলার ভাসা ভাসা উপস্থিতি, কাহিনীর ছন্দহীন পতন, সিনের মধ্যে ছন্দপতন, টোটাল কাহিনীর অনুপস্থিতি, ঢাকাই সিনেমার আজগুবি সাসপেন্স, ঝকমারি মুভি রিভিউয়ের সাথে বাস্তবের অমিল, শাহরুখের ডন-২ এর বিজয় বা ডন চরিত্রের নকল করে আয়নার অন্তর্ধান ও মুখোশ বদল (অত্যন্ত কাঁচা তরিকায়), এলোমেলো আবহ সঙ্গীত, ডায়লগের প্লেব্যাক ও ডাবিং এর লো কোয়ালিটি, ডিপ্লোমা স্টার (মুটুটার নাম জানি না) এর গাড়ল মার্কা অভিনয় এবং বিজ্ঞাপন ও মুভির মধ্যে ব্যবধান না জানা, পার্থর ২ ঘন্টার মুভিতে মাত্র একটাই শার্ট পরে অভিনয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবাস্তব হলেও রাস্তায় ওপেনলি ব্রান্ডির বোতল হতে ব্রান্ডি খাওয়া, ২০১৭ সালে তার হাতে ফুজি ফিল্মের ক্যামেরা থাকা-আর কত অসঙ্গতি বলব?
যারা ক্রাশ খেয়েছিলেন তারা কী মনে করে খেয়েছিলেন জানি না। বোধহয় ক্রাশ খাওয়াটাই এখন রীতি তাই খেতে হয়। আমি আয়নাবাজির জন্য ক্রাশ খেতে পারলাম না। যদি কেউ ভাবেন আমি বেশি ভাবিস্ট, বেশি আতেল বা মুভি বোদ্ধা নই, তাহলে পোষ্টের ১ম অংশটা পড়ে নিবেন আরেকবার। আগেরদিনই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার “প্রাক্তন” দেখে ঋদ্ধ হয়েছি। অমিতাভ: বিজ্ঞাপন বানানোতে আপনি দারুন। মুভিতে সেটা পাইনি। হ্যা, যেহেতু অমিতাভ বিজ্ঞাপন আর মার্কেটিং জগতের লোক, বাতিল মাল দারুন মার্কেটাইজ করেছেন।