Skip to content

দ্বিধান্বিত স্বত্বায়

একটা সম্পূর্ণ রাত

বিস্মৃতির অতল একান্তে

বহুকষ্টে জমিয়ে রেখেছি।

তোমায় নিয়ে, ওগো আমার প্রাণেশ্বরী

একটা মিষ্টি কবিতার শেষ লাইনগুলো লিখব বলে।

প্রথম ক’টা চরণ সেই কবে লিখেছি।

শরতের আকাশে পেজা পেজা মেঘের হঠাৎ আনাগোনায়

ভাবুক কবির মতো উদাস হল মনটা।

কবিতারা ছন্দ হারাল আঁতুড়ে।

আমি থোকা থোকা মেঘে কবিতার ছন্দ খুঁজি।


আজকের দ্বিখন্ডিত চাঁদের রাতটা

তোমার পথপানে চেয়ে কাটাব বলে,

গানের খাতাখানা আনিয়ে রেখেছি বারান্দায়

ন্যাপথালিনের গন্ধময় কাপড়ের মতো

চেয়েছিলাম তোমার বিলম্বিত উপস্থিতি, অনুভব করব

একটু একটু করে।

অথচ রাত নামতেই নিয়নের আলো

হলুদ বিষন্ন জোৎস্নার বান নামাল।

আজ মহুয়ার গন্ধ ভরা বাতাসে

মন্দিরে কাসর শব্দে প্রহর পেরোতো,

সারমেয়দের প্রণয় ভিক্ষার মোক্ষ ডাকে

রাতের ডাহুকি চাঁদ বাঁকা হেসে

কোথা হারাল।

আমি একা কালো রাতে

বৃথাই খসে পড়া লজ্জার সাথে

তোমার আগমনি পথ চেয়ে, ধ্রূব নক্ষত্রের পতন দেখি।


কবিতার খাতা বিধবার সাদা থানের মতো

শুভ্র অথচ বিষন্ন নিলচে অবয়ব নেয়।

রাত গভীরে

তোমার আশায় কিছুটা সময়

প্রতীক্ষার প্রহর কাটে

শরবিদ্ধ কবি হৃদয়ে রক্তক্ষরন ফোটায় ফোটায়,

চুঁইয়ে পড়ে অতিন্দ্রীয় ও অপার্থিব যন্ত্রণায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *