Skip to content

দুর্বলের পিঠে নীতির কিলের আারেক ঘা

আগামি কয়েকদিন সামিয়া রহমান আপা বঙ্গফেসবুক কাঁপাবেন-তা সুনিশ্চিত। গো+এষণায় তথাকথিত ‘চৌর্যবৃত্তি’র ভাইরালে।

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে,

সকালে অফিসে আসতে আসতে যে সর্বমোট ১১ টি পোস্ট দেখলাম, তার সবগুলোর শুরু বা শিরোনামে সামিয়া আপা।

আরো যে দু’জন পুরুষ শিক্ষক শাস্তি পেয়েছেন, তাদের দিয়ে শিরোনাম করতে দেখলাম না একটাও।

একটাও না। ব্যপারটা কি নেহাতই কাকতালীয়? নাকি?

কারন কী?

তিনি নারী? শাড়ি ধরে টান দিতে সুবিধা? মজাই মজা?

নাকি তিনি মাইয়া মানুষ হইয়াও সেলেব্রিটি ক্যান-সেই ক্ষোভ? নাকি তার মাল্টি কালারড চুল? অথবা তিনি সাংবাদিকতার পাপ করে ফেলেছেন? ইদানীং বাঙালী ডাক্তারে অরুচী বোধ করে সাংবাদিক খাচ্ছে।

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে শুভঙ্কর,

নকল ও কপি যদি পাপ হয়, সেই পাপ তো সেদিনই প্রথম জন্ম হয়েছে, যেদিন কাট/কপি/পেস্ট প্রথম আবিষ্কার হয়। সেদিনতো কেউ আহাজারি করেনি?

সুধী সমাজ, গো+এষণায় চৌর্যবৃত্তির জন্য ওনারা তিনজন জাহান্নামে যাক, আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। ওনারা কেউ আমার খালতো, মামতো, তালতো ভাই-বোন না।

যদিও কেউ কেউ ‘সামিয়া রহমান’ কথাটা এত জোর দিয়ে, কড়া করে বলছেন, যেন, সামিয়া তার ছোট মেয়ের বান্ধবী, যেন তিনি একজন সিনিয়র ও শিক্ষক একদমই নন, যেন তিনি কারওয়ান বাজারের একজন টোকাই। এরাই আবার দেলু রাজাকারকে নিয়ে কিছু বললেই বলবে, “উনি আল্লামা সাঈজী”। খালি দেলু না।

সুধী সমাজ, গাইলান। ওনাদের ইচ্ছামতো ধোলাই করুন। গবেষণা চুরি বলে কথা। যদিও আমাদের জীবন প্রতিদিনই চুরি হয়ে যাচ্ছে। চুরি যাচ্ছে আমাদের সব স্বপ্ন। 

তবে দুইটা প্রশ্নের জবাব দিয়ে তারপর আপনাদের মুখবিবরের সুবচনের স্টকগুলো ছাড়ুন।

প্রশ্ন-১: বঙ্গদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কোন গো+এষণাগারে সত্যি সত্যি পবিত্র গো+এষণা হয়? বিসিএসআইআরের ওই আপা তো শুনছিলাম, কম্পু সাইন্সে পাশ কইরা বায়োলজির বিজ্ঞানী। না না না, হবু প্রধান বিজ্ঞানী। আর কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা জিনিসটা খাঁটি পাব? যেই দেশে আত্মহত্যা করার জন্য খাঁটি বিষ মেলে না, সেই দেশে খাঁটি গবেষণা? সেন্ডূ গুঞ্জির আবার বুকপকেট?

প্রশ্ন-২: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা গবেষণা করবেনটা কেন? খাঁটি ও বিশুদ্ধ তো অনেক পরে। গবেষণাটা কোন কাজে লাগবে? খাঁটি গবেষণা কার, কোন অস্থানের কেশোৎপাটনের কাজে লাগবে? বিজন সরকার মহাশয়ের কীটের খাঁটি গবেষণা যখন কাহারো কেশোৎপাটন করিতে পারিল না, তখন আপনারা তার প্রতিবাদে কতদিন পল্টন ময়দানে গিয়ে অনশন করেছেন?

চাকরি পাইতেই তো আজকাল বিদ্বান হইলে ডিসকলিফাই-তা সে যতই ইলিনয়, স্ট্যানফোর্ড হতে পাশ করুক। যদি দলের টিকিট না থাকে, তাহলে সব গবেষণাই তো গবেসোনা। তো হ্যাতেরা মাস্টর হইয়া গো+এষণা করে সময় কাটালে রাজনীতি কখন করবেন? 

জিপির ওই নতুন এ্যাডটা খুব সুন্দর, ”কলেজ নড়লে ক্লাশ করবি ক্যামনে?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *