Skip to content

এইচআরে কাজ করার প্রধান প্রধান চ্যালেঞ্জ কী কী?

এইচআরে কাজের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল, প্রথমত এটি একটি প্রাকটিসিং আর্ট এবং প্যাশন বেজড প্রফেশন। দুটিই ধরে রাখা সহজ কাজ না। তারপরে আছে ম্যানেজমেন্ট এপ্রোচ, এইচআর সম্পর্কে ভুল ধারনা আর এইচআরের এমপাওয়ারমেন্টের অভাব।

একজন এইচ আর প্রফেশনাল হিসেবে গার্মেন্টস শিল্পে HR এর ভূমিকা রাখার সুযোগ কতটা তা নির্ণয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেক জরুরী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ নিতে গিয়ে শুনতে হয়েছে-আরে ভাই গার্মেন্টস এ এতকিছু চলে না। আসলে কী চলে? একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গার্মেন্টস আর মোবাইল কোম্পানীর মধ্যে কী কী বিষয়ে পার্থক্য থাকে যে মোবাইল কোম্পানী পারলেও গার্মেন্টস এ নতুন বা আধুনিক কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না?

সারা পৃথিবী জুড়ে এইচ আর এর মৌলিক চরিত্র কিন্তু একই। শত বছর আগে ফেয়ল, টেইলর, মাসলো, হার্যবার্গ যেসব মৌলিক তত্ত্ব প্রদান করে গেছেন তার কিন্তু একটা সার্বজনীন ও সর্বকালীন আবেদন আছে। এসব তত্ত্ব এমন নয় যে তা শুধু তাদের দেশের সংগঠনগুলোর জন্য লেখা হয়েছিল। যুগে যুগে, দেশে দেশে সংগঠনের আকার, প্রকৃতি, ধরণ, কর্মপ্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে কিন্তু এসব ম্যানেজমেন্ট থিওরী সর্বকালেই সংগঠন দক্ষতার সাথে পরিচালনায় প্রযোজ্য। শুধু যেটা করতে হয় তা হল তত্ত্বগুলোকে সংগঠনের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজস্ব কালচারে ট্রান্সলেট করে নেয়া। কতটা দক্ষতার সাথে এই ট্রান্সলেট করা হচ্ছে সেটাই হল একজন ভাল, দক্ষ এইচ আর প্রফেশনালের কারিশমা।

আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোম্পানীর সব বিভাগ, উপ-বিভাগ, কর্মপ্রক্রিয়াতে ওনাররা আস্থার সাথে তাদের নিযুক্ত প্রফেশনালদের উপর ভরসা করলেও এইচ আর এর ক্ষেত্রে এসে তারা তাদের প্রফেশনাল এইচ আর কর্মীদের উপর একশোভাগ আস্থা রাখতে পারেন না। কর্মী নিয়োগ, পদায়ন, প্রমোশন, বদলী, বেতন বৃদ্ধি, পুরষ্কার, তিরষ্কার-সবক্ষেত্রেই একটি নিয়ন্ত্রিত এইচ আর। প্রডাকশন বিভাগ, মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ তাদের ক্ষমতায়নের বদৌলতে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইচআর এর থাকে না। এখন পর্যন্ত কতগুলো গার্মেন্টসে পৃথক, স্বাধীন এইচআর বিভাগ আছে? এখনো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচআর, এ্যডমিন, কমপ্লায়েন্স একটাই বিভাগ।

আজকের যুগে এরকম ৩টি অতি জরুরী বিভাগ কিভাবে একত্রে চালানো যায় তা জানি না। আবার নামে একটা এইচ আর বিভাগ থাকলেও তাদের কর্মপ্রক্রিয়া, কর্মপরিধি, ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয় না। ফলে এইচ আর থাকে নামসর্বস্ব একটা অস্তিত্ব। এমনও দেখেছি এইচ আর বিভাগ আছে কিন্তু কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, প্রমোশন দেবার ক্ষমতা প্রোডাকশনের জিএম/ডিরেক্টরদের। কোথাও কোথাও এইচআর এর একটা নামকাওয়াস্তে স্বাক্ষর থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আসলে অঘোষিতভাবে বলে দেয়া থাকে যে প্রোডাকশন থেকে/বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায় থেকে আসা সুপারিশ এর অন্যথা করা যাবে না। এইচ আর এখানে শুধু ক্লার্কের ভূমিকায় অবতীর্ণ। আর ওনার কর্তৃক যেকোনো সময় মানবসম্পদ রিলেটেড একক সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রাকটিসতো অহরহ।

আমি সবার কথা বলছি না। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের এইচআরএম কালচারে চমৎকার একটি কর্পোরেট কালচার ও প্রফেশনালিজম নিয়ে এসেছে এবং তার সুফলও পাচ্ছে হাতে হাতে। বর্তমান ২০২৫ সালের পৃথিবীতে প্রফেশনাল মানবসম্পদ বিভাগ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও ব্যবসা জগতে তীব্র প্রতিযোগীতা ফেস করে টিকে থাকার কোনো সুযোগ নেই। মনে রাখা দরকার-সার্ভাইভাল ফর দ্যা ফিটেষ্ট।

How Artificial Intelligence (#AI) will dominate HR: Is it going to be a big threat for HR professionals?

Artificial intelligence বা AI নিয়ে আমরা যে হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়েছি, সেটি অবশ্যম্ভাবি ছিলই।

তবে AI মাত্রই পৃথিবীতে এসেছে-এই ব্যাপারে আমি সামান্য ভিন্নমতে বিশ্বাসী। আমি মনে করি, এটি নতুন আসেনি, বরং, কৃত্রিম বা মেশিনের বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বহু আগেই আমরা শুরু করে দিয়েছিলাম। ক্যালকুলেটর নামের মেশিন যেদিন হতে যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগের ফল দিতে শুরু করে, সেটি কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছিল না? কম্পিউটার যেদিন আবিষ্কার হয়, সেদিনই কি Artificial intelligence এর একটা প্রোডাক্ট সে ছিল না? বুদ্ধিমান মেশিন ও বুদ্ধিমত্তার যান্ত্রীকিকরণ অনেক আগেই হয়ে গেছে। একটা টোটাল Artificial intelligence ইকোলজি ও জেনারেশন নিয়ে হয়তো এখন আমরা হইচই দেখছি।

যাহোক, গোটা বিশ্বেই AI নিয়ে এখন দুদিন পরপরই একটা না একটা সাড়া পড়ছে। এবং, গোটা জগতের বড় বড় মাথারাই কল্পবিজ্ঞানের সেই রবোট-মানুষ যুদ্ধ অথবা মেশিন-হিউম্যান ওয়্যারফেয়ার নিয়ে এখন সিরিয়াসলি ভাবছে। এই ভাবনার একটা বড় দিক হল মেশিন বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে মানুষের আত্মসমর্পন বা পরাজয় স্বীকার করতে হয় কিনা।

অন্য অনেক অনেক সম্ভাবনা ও বিপদের নানামুখী আলোচনার মধ্যে এটাও এখন একটা ভ্যালিড প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে, যে, AI কী আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক নিয়ন্ত্রণ কারো হাতে কুক্ষিগত করে দেবে? সে কি আমাদেরকে কতিপয় নিয়ন্ত্রকের নিজস্ব চিন্তার ব্রেইন চাইলডে পরিণত করবে?

একটা সময় আমরা ঔপেনিবেশিক প্রভূদের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির দাস ছিলাম। AI কি আমাদেরকে নতুন করে টেক জায়ান্টদের ফিলোসফিক্যাল স্লেভ বা বুদ্ধিদাসে রূপান্তরিত হবার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে? AI ভিত্তিক নানা মডেল বা বট বা সহজ কথায় প্রযুক্তি কি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক নিয়ন্ত্রণ, মেধাস্বত্বের নিয়ন্ত্রণ  একচ্ছত্রভাবে এ.আই এর সৃষ্টিকর্তা তথা ডমিন্যন্ট পশ্চিমা বা উন্নত গোষ্ঠীগুলোর হাতে কুক্ষিগত করে দিচ্ছে?

AI এর পৃথিবীতে আমাদের, মানুষদের নিজস্বতা বলে কিছু কি থাকবে? তার দাপটে আমাদের সৃষ্টিশীলতা কি বিলুপ্ত হবে ধীরে ধীরে? সৃষ্টিশীলতার চর্চার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে সে কি বিবর্তন ঘটাবে মানুষের ব্রেইনের? বায়োলজিক্যাল মানবের ব্রেইন কি বায়োনিক ব্রেইনে রূপ নেবে তখন? সে আসলে সৃষ্টিশীল কাজের সৃষ্টিকর্তারা কী করবে? AI দিয়ে যেহেতু গান, সুর, পেইন্টিং, কোডিং, ডিজাইন, লেখা-সবই করা যায়, তাহলে কবিরা, গায়করা, আঁকিয়েরা তখন কী করবেন? কারা টিকে থাকবে এই ওয়্যারে?

AI যখন নাওয়া, খাওয়া, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, সমর, খেলাধুলা, বিনোদন, শিল্প, মহাকাশ, প্রযুক্তি-সবখানেই দাঁত বসিয়ে ফেলেছে, যখন সে ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যন্ট হিসেবে, স্মার্ট বট হিসেবে বহু বহু কাজে হাত পাকিয়ে ফেলেছে, এবং, অতি দ্রূত সে অ্যাকিউরেসিও হাসিল করে ফেলছে, তখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াই উচিত।

আশার তরনীতে একটা ছোট্ট প্রদীপ আশাকে আবার প্রাসঙ্গিক করেও রাখে, যেটার নাম হল, AI রিজেনারেটিভ কিনা। মানে, তাকে যা শেখানো হয় না, সেটা সে নিজে নিজে শিখে নিতে পারে কিনা, আর সে মানুষের মতো করে দ্বিধা, দ্বিচারিত্ব, মিথ্যা, সন্দেহ ও যুক্তির ফ্যালাসি মোকাবেলা করতে শিখে যায় কিনা। তবে, আশার প্রদীপ দপ করে নিভে যেতেও পারে। গুগলের তৈরী Gemini কীভাবে নিজে নিজেই সামান্য গ্রুমিং ও তথ্য হতে বাংলা শিখে নিয়েছিল, সেটা তার নির্মাতাদের জন্যও একটা চমক ছিল। এই  রহস্যটাই ভয়ানক।

এ.আই এর কাছে কেবল মানুষ না, খোদ প্রযুক্তি ও পুরোনো মেশিনরাই অসহায় হয়ে পড়েছে।

কয়েকদিন আগেই একজন বিজ্ঞ মানুষের পোস্ট পড়ছিলাম লিংকডইনে। তিনি গুগলের মতো সার্চ এঞ্জিনদের যে দুর্দিন আসছে, নতুন নতুন AI বেজড বটগুলোর দাপটে সেটা নিয়ে লিখেছিলেন। কথা সত্য। গতানুগতিক সার্চ এঞ্জিনগুলোর ব্যবহার অবসোলেট হয়ে যাবারই কথা।

AI আসার আগে, বা, সত্যি বলতে, সাধারনের নাগালে জনপ্রিয় হবার আগে আমরা কিছু জানা বা খোঁজ করবার জন্য সার্চ এঞ্জিনে অভ্যস্ত ছিলাম।

গুগলসহ আগের সার্চ এঞ্জিনগুলোর চরিত্র, অ্যালগরিদম, কাজের নীতি এবং পরিবেশনের তরিকাটাও যদিও বিশুদ্ধ ও ন্যায়ানুগ ছিল না। বায়াজড ও দুষ্ট অ্যলগরিদমের ভয় সেখানেও ছিল। তবুও ওসব আগের সার্চ এঞ্জিনগুলোর কাজের তরিকা আর এ.আই বেজড নতুন চ্যানেগুলোর কাজের ধরন কিন্তু ভিন্ন। গুগলের মতো সার্চ এঞ্জিনগুলো আমার জিজ্ঞাসা আর জানবার আগ্রহের বিপরীতে আমাকে নিজের কিছু বলত না। সে আমাকে ওই বিষয়ে একশোটা জানবার জানালা খুলে দিয়ে বলত, নাও, তুমি অন্তত দশটা জায়গা হতে জানো, যে, কচু কী জিনিস, মূলা কী করে খায়। যাতে একমুখী সোর্স অব নোয়িং তথা বায়াজড ও মনোপলি লারনিং না ঘটে।

হ্যা, ওই দশটা অফার কিন্তু সে বায়াজড হয়ে দিত। দশটা হতে চয়েজের স্বাধীনতা আপনার ছিল, কিন্তু, সেটাও একধরনের নিয়ন্ত্রীত স্বাধীনতা, কারন, আপনি ওই দশটার মধ্যেই থাকবেন। অ্যালগরিদম, SEO এর ফাঁদে ফেলে আপনাকে শেকলবন্দী স্বাধীনতা উপভোগ করতে দিত এসব প্রযুক্তি।

অ্যালগরিদমের বাহানা কেবল সার্চ এঞ্জিনই না, সোশ্যাল মিডিয়াও আপনাকে দেয়। সে ঠিক করে দেয়, আপনি কী দেখবেন। আপনি হয়তো ভাবেন, আমি আজ ফেসবুকে এই এই দেখেছি। আসলে অন্য পিঠটা দেখতে পেলে বুঝতেন, যে, ফেসবুক বা লিংকডইন তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, অ্যালগরিদম, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ও গোপন মিশন ফলো করে ঠিক করে, আপনাকে কী দেখানো হবে, আর কী দেখতে দেয়া হবে না। এতে করে, আপনি ধীরে ধীরে একটি মেশিন বা বট বা সাইট বা পোর্টাল বা মতবাদ কিংবা বডির বায়াসড চিন্তার ক্রীড়ানকে পরিণত হন। আপনি আর আপনার মানুষটা থাকেন না, আপনি পরিণত হন একজন মডিফায়েড হিউম্যানে। মডিফায়েড বাই থট মেশিন অ্যান্ড এশটাবলিশমেন্ট। ভেবে দেখুন তো, জন্ম হতে যদি কেউ দেখত, যে, গরু গাছে ওঠে, সেও কি বিশ্বাস করতে শুরু করত না, যে, গরু আসলেই গাছে চড়তে পারে? মানুষ তার কগনিটিভ বায়াস ও কনফারমেশন বায়াসের কাছে বন্দী। মেশিন ও মেশিন বুদ্ধিমত্তার ঘেরাটোঁপে বন্দী মানুষ যদি মেশিন কর্তৃকও বায়াসের শিকার হয়, তাহলে তার নিকট হতে রিয়েল মানুষটাকে আর দেখা যাবে না। শুধু দেখা যাবে ফিলোসফিক্যালি মডিফায়েড ব্রেইন ওয়াশড বা ব্রেইন চাইলড অব বটস।

চ্যাটজিপিটি, এবং তার মতো অন্যান্য জনপ্রিয় এ.আই প্ল্যাটফরমগুলোর কাজের ধরন হল, তারা আমাকে জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নের বিপরীতে সার্চ এঞ্জিনদের মতো দশটা অপশন দেয় না। বরং, সে আমাকে রেডিমেড জ্ঞান দেয়, যা মূলত ওই বিশেষ মেশিন বা সাইট বা বটের নিজস্ব দর্শন বা পাখি পড়া করা জ্ঞানের ঝলক মাত্র। সে ছবি খুঁজলে তিনশো রেকর্ডেড ছবি প্রেজেন্ট করে না, বরং সে নিজেই ছবি বানিয়ে দেয়। প্রায় নিখূঁত জেনারেটিভ ফটো, পোট্রেট, ভিডিও বানিয়ে দেয় ফরমায়েশমতো। এতে সময় বাঁচে, গতি বাড়ে, তবে ভয় হল, এটা জ্ঞানকে বায়াজড করে, মিথ্যা জ্ঞান বাড়ে, জ্ঞানের পোলারাইজেশন বাড়ে আর দীর্ঘমেয়াদে এটা মানুষের সৃষ্টিশীলতা কমাবে।

আপনি হয়তো ভয় পাচ্ছেন যে, ভবিষ্যতে AI এসে HR এর চাকরি সব শেষ করে দেবে। সত্যি বলতে গেলে দেবে।

আবার, আমি বলব, দেবে না।

যদি, হ্যা, একটা যদি আছে। সেই যদির শুরু হল তার জন্মপরিচয় দিয়ে।

AI এর জন্মদাতা ও ব্রেইনদাতা হল মানুষ। সেই মানুষ যতক্ষণ মানবীয় চিন্তায় এগিয়ে থাকবে, ততদিন যেকোনো সিস্টেম বা বট বা AI কে হিউম্যান টাচ দিতে মানুষ লাগবে। আর মানুষ থাকলে HR ও লাগবে। হ্যা, যদি সেই এইচ.আর সত্যিকারের এইচ.আর নিয়ে কাজ করে থাকে, তবে।

AI ভবিষ্যত এইচ.আরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে? এক কথায় বললে পিপল ম্যানেজমেন্টে।

Employer branding, employee engagement mapping & measuring, employee tracking, trailing ex employees, talent assessment from social presence এসব স্কোপে AI HRকে বিপুল সাহায্য দেবে।

ধরুন, আপনার এক্স এমপ্লয়ী। সে চাকরি ছেড়ে চলে যাবার পরে কোথায় কোথায় জব করছে, কেমন করছে, সেটা তার লোকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাক করবে AI এবং সেটা যুক্ত থাকবে আপনার ডাটাবেসের সাথে। সেখানে সে তথ্য রেখে দেবে। যখনই আপনার ওরকম একটা মানুষ আবার লাগবে, ওপেনিং হবে, AI আপনাকে সাজেস্ট করবে, তোমার অমুক এক্স এখন ওইখানে আছে। তাকে নিতে পারো।

অথবা, আপনারই মনে হল, আরেহ, অমুককে আবার আনলে কেমন হয়। ব্যাস, ডাটাবেসে ঢুকে দেখলেন AI আগে হতেই সেখানে তার কারেন্ট স্টাটাস কালেক্ট করে রেখেছে। একজন ইন্টারভিউ দিয়েছিল। তাকে নেননি। তবে ফিট ছিল। অপেক্ষমান তালিকায় ছিল। AI কে তার সাথে ট্যাগ করুন। সে তাকে ট্র্যাক করবে। ভবিষ্যতে যখন লোক লাগবে বা সে ওপেন ফর জব স্টাটাস দেবে, AI আপনাকে নোটিস দেবে-আরে শুনেছ, অমুক কিন্তু জব খুঁজছে।

অফিসের একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কোম্পানী নিয়ে ক্রমাগত বাজে পোস্ট দিচ্ছে। হয়তো বাইরেরও কেউ। সেটা AI আপনাকে নোটিশে আনবে।

একজন কর্মী ডিপ্রেসড। তার সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি মনিটর করে AI আপনাকে নোটিশ করবে অমুকের টেক কেয়ার করো। ATS এর ব্যবহার অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। AI আপনার সাইট ও সকল সোশ্যাল প্লাটফরম সুইপিং করবে। আপনাকে যোগ্য ক্যানডিডিট সাজেস্ট করবে, আপনার রেজুমে স্ক্রিনিংয়ের কাজ সে করবে। আপনার হয়ে স্মার্ট ডাটা এনালিসিস তো সে অলরেডি করতে শুরু করে দিয়েছে। আপনার ধারনায়ও নেই, এমন এনালিসিস সে দাড়া করাতে পারবে আপনার মানুষ ও মানবীয় ইস্যুগুলোতে।

অর্থাৎ AI, ERP, Social media, গুগল ম্যাপ-এই সবকিছুর সিংক্রোনাইজেশনে AI আপনার ভার্চুয়াল এ্যসিসট্যন্টের কাজ করবে। সেই এ্যসিসট্যান্টকে ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে যদি সুইফটলি কাজ করাতে পারার রাস্তা বের করা যায়, তাহলে এইচ.আরে একটা ভয়াবহ বিপ্লব হয়ে যাবে। তবে AI দিয়ে এত কাজ করিয়ে নেবার স্ট্র্যাটেজি সাজাতে আর তার সরবরাহকৃত তথ্য মানবীয় টাচ দিয়ে প্রয়োগ করতে মানুষ লাগবে। যেই মানুষটা সেই ম্যাশিন ও মানবিক ব্লেন্ড ও ট্রান্সফরমেশনে, ট্রানজিশনে দক্ষ-তার চাকরি থাকবে।

যাহোক, এ.আই নিয়ে খুব বেশি বলবার সময় এখনো হয়নি। AI এর সৃষ্টিকর্তারাও এখনো এটা নিয়ে ঘোর ও রহস্য কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে আমার কাছে লাগে। এর অভিঘাত কী হতে পারে-তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন জগতের তাবৎ বড় মানুষেরাই। বাংলাদেশে তো আমরা আরও পিছিয়ে। আমরা এখনো একটা ম্যানুয়াল জাতি। যদিও সেটা একইসাথে একটা শক্তি আবার দুর্বলতা। আরো বহুদূর যাবার আছে।

এ.আই ভিত্তিক প্ল্যাটফরম আর সোশ্যাল মিডিয়ার দাবানলের মতো জনপ্রিয়তা অর্জনের অন্যতম রহস্য হচ্ছে আমাদের ফাস্ট লাইফ নীতি। আমরা সবকিছু অতি দ্রুত পেতে চাই। অপেক্ষা আমাদের জীবন হতে উঠে যাচ্ছে। দশটা খুঁজে একটা পাওয়া আমাদের ধাঁতে থাকছে না। আবার, একটাতে বেশিক্ষণ সন্তুষ্ট না থেকে দশটা ট্রাই করবারও আমরা ভক্ত হয়ে গেছি। আমরা রেডিমেডের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।

এ.আই ভিত্তিক প্ল্যাটফরমগুলো আমাদের সেই রেডিমেড স্যুপ খাইয়ে ঘায়েল করছে। তাকে শুধু কায়দা করে ফরমান বা বয়ান দিলেই হল। সে তুতেনখামেনকেও ২০২৫ সালের লুকে হাজির করে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার থিওরী আবিষ্কারে কত কষ্টই না করতে হয়েছে। দু’দিন পরে হয়তো এর চেয়ে দশগুন জটিল তত্ব এ.আই খোলামকুচির মতো আবিষ্কার করবে।

বস্তুত এ.আই গোটা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেয় কিনা-সেটা একটা ভ্যালিড আশঙ্কা। অনেক কিছুই নতুন করে লিখতে হতে পারে এর প্রভাবে। এ.আই যুগের সূচনা ও এ.আই ভিত্তিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির দাবানলের মতো বিস্তার মানুষের ওপর মেশিনকে স্থান দিয়ে দিতেও পারে। মানবসভ্যতার জন্য সেটা ভাল খবর না। বাংলাদেশের একদল মানুষ অবশ্য ইতোমধ্যেই এ.আই কে দাজ্জাল হিসেবে ডিটেক্ট করে ফেলেছে।

তবে বিশ্ব সিস্টেম তছনছ হয়ে যাবার ভয়ের মধ্যে আবার একটা আদিম আশাবাদও উচ্চরিত হতে পারে। সেই আশাবাদের নাম ‘প্রকৃতি’। প্রকৃতির একটা অদৃশ্য খেলা আছে। তার একটা কল্পিত দিক বলি।

কৃষি যতদিন মূখ্যত সনাতনি পদ্ধতি নির্ভর ছিল, তখন অরগানিক পন্থায় গাছে যেসব ফল, ফসল হত, সেগুলো হত ছোট, বাঁকাচোরা, ধূসর, বিবর্ণ, অমসৃন-সব মিলিয়ে হ্যান্ডসাম লুক না। সেই সময়ে হাইব্রিড অথবা GM ফসল কিছু হত। চাষের মাছ আসত, চকচকে, ঝকঝকে, সেগুলো আকারে বড়, দেখতে টসটসে, সেক্সি রং, যেন একটা পোম্বা। মূলত বাজারে সিংহভাগ সরবরাহ থাকত কম দামের অরগানিক ফুডের, অসুন্দর ফল, ফসলের। কিন্তু, মানুষের বা ক্রেতাদের ক্রাশ থাকত ওই হাইব্রিড বা GM ফসল/ফল। যার দামও তখন বেশি হত।

এখন আবার হাইব্রিডের যুগ। বাজার ছেয়ে গেছে GM বা হাইব্রিড ফল, ফসল, পোলট্রি অথবা ক্যাটেলে। সর্বত্রই বিশালাকারের ফল, সেক্সি লুকের ফুল, ফসল, দৈত্যাকার ব্রয়লার বা ব্রাহামা ষাড়। দাম কম। কিন্তু আজকে আবার পাশা উল্টে গেছে। মানুষ বাজারে পায় হাইব্রিড, কিন্তু, তার এখন ক্রাশ হল অরগানিক ফুড, যেগুলো দেখতে কুচ্ছিত, পাওয়া যায় কম, দাম আকাশচুম্বি। মানুষ বাজারের এক কোণায় চোরাই মালের মতো বিক্রী হওয়া অরগানিকের জন্য গলার হার বেচতে রাজি।

একটা সময় ছিল হাতে করার যুগ। অংক করত হাতের কর গুনে। মানুষ নিজের ব্রেইন ও হাত দিয়ে শিল্পকর্ম আঁকত। সেগুলো দেখতে যেমনতেমন, ঝকঝকে না, তাতে নানান কায়দা কম। শিল্পবোধটা কেবল প্রখর।

তার ওপর এখন এসেছে AI দিয়ে বানানো শিল্প। AI দিয়ে আঁকা ছবি, ভিডিও, নানা সৃষ্টি। সেগুলো খুব চৌকষ, বুদ্ধিদীপ্ত, টু দ্যা পয়েন্ট, দ্রূত। এক বট দিয়েই হাজার রকম সৃষ্টিশীল ’মাল’ পয়দা করা যাচ্ছে। ভাবছেন, শিল্পীদের ভাত বোধহয় গেল। মেশিন যদি ছবি আঁকতে পারে, তাহলে পাবলো পিকাসো বা মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর আর বেইল থাকে?

AI এর হামলায় জব হারাবার শঙ্কায় কোটি কোটি মানুষ। 

মজার বিষয় হল, AI এর এই রমরমা কৃত্রিম শিল্প সৃষ্টির মধ্যে মানুষ খুঁজবে মেতিস বা জয়নুল কিংবা সুলতানের হাতে আঁকা চারকোলের স্কেচ। AI এর নিখূঁত পোট্রেট না, একজন মানুষ তার ৪ বছরের কচি মেয়েটার আনাড়ি হাতে আঁকা বাবার একটা কার্টুন দেখে বেশি আপ্লুত হবে। AI এর যুগে মানুষ অরগানিক সৃষ্টিতে ক্রাশ খাবে। কদর বাড়বে তার।

ঠিক যেমন, এই ফাস্ট মুভিং ও সুইঙ্গিং সোসাইটি এখন খোঁজে সেই আদিম যুগের চন্ডিদাস রজকিনীর অরগানিক প্রেম।

Biggest Challenges of HR:

১.এইচআর বিভাগের ক্ষমতায়ন। মালিকদের কাছ থেকে তাদের নিজস্ব কৌশল এবং SOP অনুযায়ী তাদের অপারেশন এবং পরিকল্পনা পরিচালনা করা।

২. কোম্পানির অভ্যন্তরে আধুনিক এইচআরএম অনুশীলনগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে মালিকদের অনিচ্ছা ৷

৩. বিশেষত উৎপাদন খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব।

৪. সংস্থাগুলিতে কর্পোরেট কাঠামো এবং কর্পোরেট সংস্কৃতির অনুপস্থিতি।

৫. সাধারণ কর্মী প্রশাসন-ভিত্তিক চিন্তা থেকে HR আলাদা করা।

৬. ব্যবসায়িক প্রবণতার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতিতে কর্পোরেট সংস্কৃতি/তাত্ত্বিক HRM চিন্তাধারার অনুবাদ।

৭. HR পেশাদারদের জন্য যথাযথ/সমসাময়িক HR প্রশিক্ষণের অনুপস্থিতি।

৮. এইচআরএম সিস্টেম এবং অপারেশনে মালিকদের হস্তক্ষেপ।

গার্মেন্টস HR এ কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই একটা কথা শুনতে হয়-গার্মেন্টসে ওটা হবে না, এটা চলে না, ওসব গার্মেন্টসে খায় না ইত্যাদি। মূল বক্তব্য হল, যত মডার্ন HRM থটস, থিওরিজ, ম্যানুয়্যালস, প্রাকটিসেস আছে-ওগুলো গার্মেন্টস এর এইচআরে এপ্লিকেবল না। গার্মেন্টসের এইচআর সম্পূর্ন ভিন্ন পথে, ভিন্ন নিয়মে, ভিন্ন নীতিতে পরিচালিত হতে হবে।

আমি নিজেও অনেকদিন বিষয়টি বুঝবার চেষ্টা করেছি ঠিক কী কারনে এই ধারনাটি ঠিক বা ভুল। যেকোনো একটি ধারনা বা বিশ্বাসকে প্রমান বা অপ্রমান করতে গেলে যুক্তি থাকতে হয়, এনালিটিক্যাল রিজনিং থাকতে হয়। দীর্ঘ দিন বিষয়টি নিয়ে ভাববার পর আমি একটি ইকুয়েশনে পৌছেছি। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ইউনিক-চাই কি সেটা ধরনে, চাই কি তার আকার, আকৃতি, ব্যাবসার ধরন, মালিকের ধরনসহ যেকোনো বিচারে। বিধায় তার অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস প্যাটার্ন, এথিক্যাল প্যাটার্ন-সবই ইউনিক হয়।

তবে এইচআরের ক্ষেত্রে বিষয়টা ওরকম ন্যারো লাইনে একবাক্যে বলে দেয়া যায় না। প্রতিষ্ঠান যেহেতু ইউনিক হয় তাই তার এইচআরও হবে ইউনিক। কিন্তু সেই ইউনিকনেসটা মূলনীতি বা প্রিন্সিপালস এবং আসপেক্টস এ নয়। নিজস্বতা বা ইউনিকনেস থাকবে অপারেশন মেথড, এসওপি বা ইমপ্লিমেনটেশনে। কিন্তু মূলনীতিতে কোনো ইউনিকনেস থাকবে না। জগতের সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের এইচআরএম সিস্টেম কিংবা এইচআরডি ম্যানেজমেন্ট এর মূলনীতি, প্রিন্সিপালস, এথিকস, থীমস-এক ও অভিন্ন। আমি তুলনা করার জন্য নিচে কিছু স্যাম্পল প্যারামিটার সেট করে দেখালাম কেন মূলনীতি ও থীমস এ যেকোনো এইচআরের চেয়ে গার্মেন্টস এইচআর আলাদা কিছু নয়।

Business growth

Checking corruption

Compensation & Benefits

Corporate Practices   

CSR     

Defending wastage of any kind

Disciplinary practice

Employer branding

Equal opportunity for all

Good Governance      

Legal obligation

Low migration

Profit making 

Rewarding for Performance

Skilled Manpower      

Sustainability  

Talent mgt. & retention         

Training for Employees/Skill Development   

Written Service Rules and rule of law

Treating the employees as Human Being

দেখা যাচ্ছে, যে, কোনো প্যারামিটারেই গারমেন্টস কারখানার এইচ.আর এর সাথে অন্য যেকোনো ধরনের এইচ.আর এর গুনগত ও বুনিয়াদগত কোনো ভেদ নেই। দুটিরই পথপরিক্রমা একই।

তবে আমার এই মতবাদের বিপরীতে সবচেয়ে হাস্যকর যে তুলনাটি টানা হয়ে থাকে, সেটি হল, গারমেন্টস একটি শ্রমঘন শিল্প। এখানে প্রচুর কর্মী কাজ করে। য়ুরোপ-আম্রিকার কর্পোরেট কোম্পানীগুলোর এইচ.আর তত্ব এখানে প্রয়োগ করা যাবে না। ওনাদেরতো একেকটা অফিসে ২০ জন, ৫০ জন কর্মী। তাদের উদাহরণ এখানে দেবেন না। তাদের কথার জবাবে আমি কেবল জগতের সবথেকে বড় ও সেরা কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম বলছি, যাদের এইচ.আর অন্যতম সেরা, আর যাদের কর্মীর বহর আমাদের যেকোনো গারমেন্ট কারখানার তুলনায় বহু বহু গুন বড়। দেখে নিন একবার:

TATA: 6, 95, 699

Samsung: 4,89,000

IBM: 3,86,558

RELIANCE: 2,50,000

SONY: 1,46,300

BMW: 1,24,729

Microsoft: 1,20,849

Philips: 1,14,188

Google: 72,000

Telenor: 35,121

Grameen Bank: 24,703

Facebook: 17,048

Grameen Phone: 3,283

#ChallengesofHR #AIchallenge #riseofAI #threatsofAI obstaclesofHR

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *